ঢাকা : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে কেউ নেই।
২৩ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি আয়োজিত স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ববাংলা ঘোষণা দিবসের ৫১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরীসহ কেউ নেই প্রধানমন্ত্রীর পাশে। তিনি বড় একা। তিনি একরকম বন্দী অবস্থায় রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিহীন আওয়ামী লীগ ভুল পথে চলছে। মাঝিবিহীন নৌকা চলছে। একটু ধাক্কা দিলে নৌকা ডুবে যেতে পারে।
জাফরুল্লাহ বলেন, বিএনপিতে অনেক বড় নেতা থাকলেও তারা বধির ও অন্ধ হয়ে গেছেন। সরকার একের পর এক ভুল করে গেল তারা শুধু দেখেই যাচ্ছেন, কিছুই করতে পারছেন না। বর্তমানে অফিস-আদালত মাদ্রাদরাসা সব খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ।
কারণ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে রিপোর্ট রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো খুলে দিলে সরকার পতনের আন্দোলন হতে পারে। তিনি ২০ দলীয় জোটের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কি করছেন, আপনারা ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন না কেন? আপনাদের ঘুম কি ভাঙে না, আপনারা কেন তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?
ছাত্রদের আন্দোলন চাঙ্গা হলেই জনগণের অধিকার ফিরে আসবে, মুক্তি পাবে খালেদা জিয়া। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের ইস্যু একটাই বেগম জিয়ার মুক্তি। তাও মাজা সোজা হয়ে মুক্তি চাইতে সাহস পান না। খালেদা জিয়া অসুস্থ, তার চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
অধিকার আদায় করে নিতে হয়। যেমন আজিজ সাহেব তার ভাইয়ের অধিকার আদায় করে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জাতির মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। অলস শিশুরা হিন্দি ফিল্ম দেখে কিশোর গ্যাং তৈরি করছে। আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য ছাত্রদের পক্ষে অবস্থান নিন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে কোন লাভ নেই, একটা প্রতিষ্ঠান ঠিকমত চলছে না। হঠাৎ জিয়াউর রহমানের খেতাব কেড়ে নিতে চাচ্ছে সরকার। এর কারণ হলো গতি ঘুরানো। যারা এই হীন কাজে সম্পৃক্ত তারা শুধু জিয়াউর রহমানকেই নয় বঙ্গবন্ধুকে ছোট করছে।